বগুড়ায় নির্মাণাধীন ভবনের সিঁড়ি ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার ১০,১১,১২ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহিনুর শানুর বিরুদ্ধে। শহরের কলোনি এলাকার জামিল মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নির্মাণাধীন ভবনের মালিক আফরোজার রহমান বকুল ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্মানধীন ভবনের সীমানা নিয়ে একটা সমস্যা আছে, ভবন নির্মাণ বন্ধে প্রতিবেশি সাজ্জাদ হোসেন পৌরসভাতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এজন্য পৌরসভা থেকে ২৯ তারিখে ডাকা হয়েছে। আর ওদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডাকা হয়েছে আগামী মাসের ৭ তারিখ। যে অংশে বিরোধ সেখানে কোনো কাজ করা হয়নি। কিন্তু মহিলা কাউন্সিলর লিগ্যাল নোটিশ কিংবা পৌরসভার লিখিত কাগজপত্রের তোয়াক্কা না করে নির্মানধীন ভবনের সিঁড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন। তবে ১৪ আগস্ট পৌরসভার মেয়রের কাছে আফরোজার রহমান বকুলের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা ৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে। এর বিপরীতে ১৬ আগস্ট সাজ্জাদ হোসেনকে বিবাদী করে বকুলের ছেলে জাহেদ আল নয়ন সীমানা মাপজোকের দাবি জানান পৌরসভার কাছে। স্থানীয় লোকজন ও ভবন মালিকের অভিযোগ, চাঁদার টাকা না পেয়ে কাউন্সিলর শানু ইচ্ছাকৃতভাবে ভবনের সিঁড়ি ভেঙ্গেছেন।
নির্মানধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা সামসাদ বলেন, মহিলা কাউন্সিলর শানু বিভিন্ন সময় ভবন নির্মাণের কারণে ভবন মালিকের কাছে টাকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ার কারণে তিনি তার বাহিনী ও পৌরসভার লোকজনকে সাথে নিয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে দেন। ওই সময় স্থানীয় লোকজন মহিলা কাউন্সিলরের কাছ থেকে ভাঙ্গার আদেশপত্র দেখতে চায়। কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি তখন স্থানীয় লোকজন তাকে ঘিরে রাখে। আমরা এ ঘটনায় ফৌজদারি আইনে আদালতে অভিযোগ দিব।
এ ঘটনায় কাউন্সিলর শাহিনুর শানু সাথে কথা হলে তিনি টাকা দাবির বিষয় পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তবে সিঁড়ি ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে বিষয়টি মেয়র মহোদয় জানেন বলে তিনি দাবি করেন।
বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,
বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে একটা অভিযোগ ছিল পৌরসভায় তাই পৌরসভার পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়। তারপরেও কাজ চলমান ছিল আমি জানতে পারি। তবে পৌর আইন অনুযায়ী সিঁড়ি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে কিনা সেটা খাতিয়ে দেখা হবে।