ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামে নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান।
আজ সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাঁচার্যের বাংলোয় অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার ছয় মাস পর চূড়ান্ত এ রায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
সভায় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা অন্তরা চৌধুরীসহ তাঁর চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এখনো অভিযুক্ত বহিষ্কৃত সানজিদা অন্তরা চৌধুরী অন্তরর দাবি করে বলেন 'আমি নির্দোষ'। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী বহিষ্কার করবে এই সংবাদ তো নতুন না। এটা গত দুইদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আবার বিভিন্ন চাপ দিয়ে তা তুলে নিয়েছে।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যেহেতু এখানো অফিসিয়ালি চিঠিপত্রের মাধ্যমে কিছু জানতে পারিনি তাই কিছু মন্তব্য করতে পারব না। তবে আমি শুরু থেকেই বলছি 'আমি নির্দোষ' এখনো তাই আমার দাবি।'
অভিযুক্তরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা অন্তরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরি খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হাইকোর্ট এবং শাখা ছাত্রলীগসহ পৃথক ৪টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়াও হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাঁদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে। ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন শেখ হাসিনা হল বদলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল আবাসিকতা নেয়।