পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ওভারব্রীজ সংলগ্ন লাইফ কেয়ার হসপিটাল ও ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে সোমবার দুপুরে এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। মৃত নবজাতক উপজেলার আতরখালী গ্রামের জোবায়ের হোসেন ও হালিমা বেগমের পুত্র সন্তান।
ভুক্তভোগী নারীর শ্বশুর মো. মোদাচ্ছের হোসেন জানান, সোমবার সকালে তার পুত্রবধূ (জোবায়েরের স্ত্রী) হালিমা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে তাঁকে ভাণ্ডারিয়া লাইফ কেয়ার হসপিটাল ও ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে নিয়ে যান এবং সেখানে তাঁকে ভর্তি করান হয়। ওই সময় সেখানে কোন রেজিষ্ট্রার্ড চিকিৎসক ছিলনা। কর্তব্যরত নার্স এ তথ্য গোপন করে ডেলিভারী করানোর নামে বাচ্চা জোড় করে প্রসব করায় যার ফলে নবজাতক তাৎক্ষনিক মারা যায়। পরে নার্সরা বলেন মৃত্যু বাচ্চা প্রসব করেছেন এ কথা বলে তারা পালিয়ে যায়। মৃত নবজাতককে সোমবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বাচ্চার মা হালিমা বেগম বর্তমানে তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ বর্নালী দেবনাথ ও ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসিকুজ্জামানা তাৎক্ষনিক ক্লিনিকটি পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ বর্নালী দেবনাথ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছি বাচ্চার মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল এ মূহুর্তে বাচ্চার পা আগে বের গেছে আসায় টানাটানি হয়ত হয়েছে পরে বাচ্চা মৃত্যু বেড় হয়েছে। মাথা ছাড়া পা বের হলেই রিক্স।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভাণ্ডারিয়া লাইফ কেয়ার হসপিটাল ও ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে এর পূর্বেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং হরকুমারী রুদ্র নামে ৯৯ বছর বয়সী এক নারীর টেষ্ট রিপোর্ট ভুলের কারণে জড়িমানাও গুনতে হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল ও পিরোজপুরের যৌথ অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহারের অপরাধে ত্রিশ হাজার টাকা ও বরিশাল র্যাব-৮ এর অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে জরিমানা আদায় করেন।