ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় শেষে ঘটে যাওয়া ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত মারামারি ও প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আট ছাত্রলীগ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় সাময়িক বহিষ্কৃতদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ বরাবর অনুরোধ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃত কর্মীরা হলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাব্বির খান, শামীম রেজা, আকিব মাসুদ অনুভব, পারভেজ হোসেন বানাত ও আবদুল কাদের। শেখ রাসেল হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আশিক কুরাইশী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের শাহদুল্লাহ সিদ্দিকী সাইমুম ও তাসিন আজাদ।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্টে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুফতাঈন আহমেদ সাবিককে জনসম্মুখে হাতে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং সাবিককে চিকিৎসার জন্য ইবি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ব্যবস্থাপনা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আকিব ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানিয়েছি প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে ছাত্রলীগের বেনাম ঠেকাতে সেদিন ছুরিকাঘাতের বিষয়টি ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত দুজনই গোপন রেখেছিলেন। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল হাই ও কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশা। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম।