নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেড় শতক জমির ওপর নির্মিত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে এক প্রতিবন্ধী এতিম পরিবারের ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ মিলেছে। এটি ঘটেছে শনিবার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের হাজীর বটতলা গ্রামে।
বিধবা প্রতিবন্ধী আম্মাজান (৬০) জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার মেয়ে লালবিকে বিয়ে দেন। কিন্তু মেয়ে লাবলিও কিছুটা প্রতিবন্ধী প্রকৃতির। বিয়ের পর লাবলির কোলে মানসিক প্রতিবন্ধী এক পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তার নাম রাখেন লাবলু। বয়স বর্তমানে ৫ বছর। এদিকে প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্ত্রী লাবলিকে তালাক দেয় স্বামী। তালাকের পর মেয়ে ও মেয়ের সন্তানকে নিয়ে প্রতিবন্ধী আম্মাজান নিজ বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন।
এদিকে ওই বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে প্রায়ই সময় আম্মাজন ও তার মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায় মৃত স্বামীর চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শেফালী বেগম এবং জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই টোল্লার স্ত্রী ওমেদা বেগম।
গত শনিবার তিন প্রতিবন্ধীকে বেধড়ক মারপিট করে পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়। এ অবস্থায় মা এগিয়ে এলে তাকেও মেরে ফুলা জখম করা হয়। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকেও করা হয় গালিগালাজ। এমন কথা জানালেন প্রতিবন্ধী আম্মাজান ও এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে লালবি জানান, কয়েক মাস পর পর তাকে নির্যাতন চালায় শেফালী ও ওমেদা। এ সময় বাড়ীর লোকজন চুপচাপ থাকে। পাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় তারা গালি দেয়।
প্রতিবন্ধী আম্মাজান জানান, ওই বাড়ী ভিটেটুকু কেঁড়ে নিতে তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। যাতে আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ী থেকে চলে যাই।
এলাকার চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে লোকমুখে শুনেছি ওই পরিবারের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে।
এদিকে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রীর সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি মারামারির বিষয়টি অস্বীকার করেন।