জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, কোন ষড়যন্ত্রই বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। ২০০৮সালে বাংলাদেশের যেই অবস্থা ছিল, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বদলে গেছে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিষ্ময়কর।তাই তো আমেরিকার এক কংগ্রেসম্যান গত তিনদিন আগে বলেছেন-বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনা উচিত।
বুধবার দিনাজপুর সদরের শংকরপুর ইউপির পাঁচকুড় হাজীপাড়া গ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রায় ৪৩লাখ টাকা ব্যয়ে “ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প (জিডিজেআইপি)” এর আওতায় নবনির্মিত ফুট ওভার ব্রীজসহ সাব মার্জড ওয়্যার এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম এসব কথা বলেন।
হুইপ ইকবালুর রহিম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছেন। বিএনপি-জামাতের আমলে কৃষকেরা সার পেতে গুলি খেয়ে মরেছে। এখন আর তা হয় না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কৃষকের পিছনে সার-বীজ ঘুরছে। তাই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্ন।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দিনাজপুর রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. প্রকৌশলী মোঃ এজাদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপ-সচিব মোরারজী দেশাই বর্মন, প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন তত্তাবধায় প্রকৌশলী, বিএমডিএ, ঠাকুরগাও সার্কেল, প্রকৌশলী রেজা মোঃ নুরে আলম তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক, জেডিজেআইপি, বিএমডিএ, ঠাকুরগাও, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম, শংকরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ তহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মোকসেদ আলী রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের প্রভাব ঃ সেচ কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। ৫,০০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা (ইউপিভিসি পাইপ দ্বারা) নির্মান করায় সেচের পানি অপচয় রোধসহ আবাদি জমি নষ্টের হাত হতে রক্ষা পাবে। কৃষকগণ স্বল্প মূল্যে উন্নত সেচ সুবিধা প্রাপ্ত হবে এবং অধিক ফসল উৎপাদন করে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। এলএলপি'র স্কীমভুক্ত কৃষকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রতা দুরীকরনে বিরাট ভূমিকা পালন করবে।