ঝালকাঠির রাজাপুরে শেরে বাংলা একে ফজুললু হক প্রতিষ্ঠিত সাতুরিয়া এমএম উচ্চবিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচালনা না করে কাউকে না কিছু জানিয়ে মোবাইল বন্ধ রেখে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নামাজের জানাজায় অংশ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষককে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয় আ.লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগে জানা গেছে, সাতুরিয়া এমএম উচ্চবিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান জামাত বা শিবিরের সাথে জড়িত। যে কারণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের দোয়া পরিচালনা না করে কাউকে না কিছু জানিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছেন। ফলে স্কুলের দোয়া অনুষ্ঠান সঠিকভাবে হয়নি, অন্য একজনকে দিয়ে দায়সাড়াভাবে দোয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষককে ২০ আগস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতুরিয়া এমএম উচ্চবিদ্যালয়ের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান জামাত বা শিবরের সাথে জড়িত’র বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেন, ১৫ আগস্ট সকালে পিরোজপুরে গিয়েছিলাম তবে সাঈদীর জানাজায় অংশ নেইনি। এ ছাড়া মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শারীরিকভাবে অসুস্থতার জন্য সকালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ায় স্কুলে যেতে পারিনি, সকালে এ বিষয়টি ফোন দিয়ে প্রধান শিক্ষককে জানাতে চাইলে তাকে ফোনে পাইনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মদ রিনা বেগম জানান, কাউকে কিছু না জানিয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি মো.শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে তার দোয়া পরিচালনা করার কথা ছিল। তিনি শোক সভায় অংশ তো নেননি এমনকি মোবাইলও বন্ধ করে রেখেছেন। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, এ ঘটনায় তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এদিকে পেটে ব্যাথাা ও ডায়রিয়া হয়েছিলো এ কারণে স্কুলে আসতে পারেনি দাবি করে ২২ আগস্ট নোটিশের জবাব দিয়েছে ঐ শিক্ষক। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হচ্ছে। রাজাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম জানান, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।