ঝালকাঠিতে অসহায় এক বিধবার ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে লাইব্রেরী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পৌর এলাকার কৃষ্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী বেগমের কাছ ৩ বছর পূর্বে শহরের চৌমাথার সিটি লাইব্রেরীর সত্ত্বাধিকারী সালাম ও তার দুই ভাই হান্নান ও আলম তাদের প্রয়োজনের কথা বলে কৌশলে বিভিন্ন সময় এ টাকা নিয়ে যায়।
অভিযোগে সুত্রে জানাযায়, পারিবারিক পুর্ব সম্পর্কের সুত্র ধরে ব্যবসায়িক প্রয়োজনের কথা বলে পৌর এলাকার কৃষ্ণকাঠি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুনা বেগমের কাছ ৩ বছর পূর্বে শহরের চৌমাথার সিটি লাইব্রেরীর সত্তাধিকারী সালাম ও তার দুই ভাই হান্নান ও আলম কৌশলে ৪ লাখ টাকা নেন। পরে দিচ্ছে দিবে বলে আর দেয়নি। সর্বশেষ ২০ জুলাই পুরো টাকা পরিশোধ করবে বলে পুনরায় ব্যুরো বাংলাদেশ সমিতি ও জাতীয় সঞ্চয় পত্র থেকে আবারও টাকা উঠিয়ে ২ লাখ টাকা হান্নান ও তার ভাইদের দেন রুনা বেগম। এ-সংক্রান্ত পরে আর সে টাকা দিবে বলে আর না দিয়ে তাল বাহানা শুরু করে। পরে টাকা না দিয়ে বই লাইব্রেরী রেখে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় মঙ্গলবার একটি অভিযোগ দিয়েছেন রুনা বেগম। দির্ঘদিন অনেক খুজেও তার কোন হদিস পাওয়াা যায়নি। রুনা বেগম আরও বলেণ, এভাবে অনেকের টাকা সে প্রতারনা করে নিয়েছে। হান্নান ও তার ভাইদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। বর্তমানে তিনি তার ৫ সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিটি লাইব্রেরীর সত্তাধিকারী হান্নানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার তার ভাই বরিশাল পোষ্ট অফিসে কর্মরত আ. সালাম জানান সর্বশেষ ২ লাখ টাকা হান্নান নিয়েছে সেটা আমি জানি। কিন্তু তার পুর্বে যে টাকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।
আরেক ভাই বেগম ফিরোজা আমু ঝালকাঠি টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজের ইরেজী শিক্ষক মো. আলম জানান, আমার ভাই টাকা নিয়েছে সেটা সত্যি। আর যিনি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, তাকে আমি চিনিনা।
তবে হান্নান আমার স্ত্রীর ২ ভড়ি স্বর্ন নিয়ে গেছে। পল্লী দারিদ্র ফাউন্ডেশন থেকে ২ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছে। সেখানে আমি গ্রান্টার। তার জন্য আমরা মুখ দেখাতে পারিনা।