বাগেরহাটের মোল্লাহাটে স্থানীয়দের সচেতনতায় ৪টি চোরাই গরু সহ দুই ব্যক্তিকে আটক ও ১টি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার নোনাডাঙ্গা এলাকায় মহা-সড়ক থেকে স্থানীয়রা আটক করে মোল্লাহাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ সময় আরেকটি ট্রাক সহ কয়েক ব্যক্তি (চোর) পালিয়ে যায় এবং আটক দুই ব্যক্তি গণপিটুনিতে আহত হন। আহতরা পুলিশি হেফাজতে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আটক ও আহত দুই ব্যক্তি হলেন, ১ পিকআপ চালক শফিকুল মোড়ল (২৩), তিনি ফকিরহাট উপজেলার টাউন নোয়াপাড়া এলাকার মোঃ সালাম মোড়লের ছেলে। ২ কিষাণ (দিনমজুর) আফসার শেখ (৪০), তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার পরকুশাইল এলাকার মৃত তৈয়ব আলী শেখের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটক পিকআপ চালক শফিকুল মোড়ল জানান, তাকে তার পিকআপের মালিক ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৬) ওই গরু পরিবহনের জন্য পাঠায়। মালিকের নিজের শশুর (গরুর ব্যাপারী) জাহাঙ্গীর শেখের গরু পরিবহনের জন্য নির্ধারিত স্থানে পৌছলে অন্য একটি ট্রাক থেকে তার পিকআপে ৪টি গরু তোলা হচ্ছিল। এমন সময় স্থানীয়রা সন্দেহবশত জিজ্ঞেস করায় তার মালিকের শশুর গরুর ব্যাপারী জাহাঙ্গীর শেখ সহ আরো কয়েকজন ওই ট্রাক সহ পালিয়ে যায়। তখন ট্রাকটি ধরার জন্য মটরসাইকেলে পিছু ছোটা হয়। একপর্যায়ে তাদের মেরে দেয়ার চেষ্টা করে ট্রাকটি খুলনার দিকে পালাতে সক্ষম হয়। এরপরও স্থানীয়রা তাদেরকে চোর সন্দেহে মারধর করেছে। এ ঘটনায় পিকআপের মালিক রবিউল ও তার শশুর বাগেরহাট সদর উপজেলার পাগলা (শাহা আউলিয়ার বাগ) এলাকার জাহাঙ্গীরসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান চালক শফিকুল মোড়ল।
এছাড়া চিকিৎসাধীন কিষাণ (দিনমজুর) আফসার শেখ জানান, তিনি জাহাঙ্গীরের কিষাণ। কোথা থেকে চুরি করা হয়েছে তার তিনি জানেন না, কেবল কিষান দিতে এসে ফেসে গেছেন। যদি চুরির বিষয় জানা থাকতো তাহলে পালিয়ে যেতে পারতেন বলেও উল্লেখ করেন আটক দুই ব্যক্তি। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ওই গরুর প্রকৃত মালিক পাওয়া যায় নাই তবে, অনেকেই মুঠোফোনের মাধ্যমে তাদের গরু হতে পারে বলে দাবি করেছেন এবং সনাক্তের জন্য থানায় আসবেন বলে জানিয়েছেন।