নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ধোপা বাড়ির মোড় সংলগ্ন গোলাম বাসের সিকদারের বাড়ি থেকে জান্নাত আক্তার (১৩) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রহস্যের সৃষ্টি হওয়ায় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
কিশোরী জান্নাতের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে তাকে কিশোরী জান্নাতকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, আবার কেউ বলেছে সে আত্মহত্যা করেছে। নিহত জান্নাত বাকেরগঞ্জের রামপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে। পরিবারের সাথে জান্নাত ওই বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকতো।
শুক্রবার সকালে কোতোয়ালি মডেল থানা ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বাড়ী বলেন, জান্নাত আক্তার নামের ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। ওসি আরও বলেন, জান্নাতের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হওয়ায় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া দম্পতি জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী সুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে আনা হয়েছিলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জান্নাতের তিন বছর বয়সের ছোট ভাইকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া জামালের বাসা থেকে আনতে যায় জান্নাত। এ সময় জামালের শ্যালক বাপ্পি একা পেয়ে কিশোরী জান্নাতে যৌণ নিপিড়ন করে। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানায় জান্নাত। এরপর তিনি দুই পরিবারকে ডেকে মীমাংসা করে তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘড়ের আড়ার সাথে জান্নাতের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের ধারণা, যৌণ নিপিড়নের ঘটনায় লোক লজ্জায় জান্নাত আত্মহত্যা করেছে। আবার অনেকেই ধারণা করছেন, জান্নাতকে যৌণ নিপিড়নের বিষয়টি আড়াল করতে তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জান্নাতের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাপ্পি পলাতক রয়েছে। সে (বাপ্পি) বাকেরগঞ্জের উত্তর চৈতা সংলগ্ন জনতা বাজার এলাকার শামসের আলী মোহরীর ছেলে।