তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সে সময় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত ছিল, দেশে কোন বৈদেশিক মুদ্রা ছিলনা। বঙ্গবন্ধু এসব অপশক্তি মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ঘাতকেরা পাকিস্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মোস্তাক আহম্মেদ ও জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এদিকে জিয়াউর রহমান পুত্র তারেক রহমান নেতৃত্বে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। এতে আইভ রহমান অনেককেই প্রাণ দিয়ে হয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় বৃষ্টি উপক্ষো করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আড়ানী মনোমোহীনি সরকারী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে মোস্তাকরা সহ যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল, তারাই জিয়াউর রহমানকে সেনা বাহিনীর প্রধান বানিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা বাহিনীকে মিথ্যা অভিযোগে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। রায় প্রদানের আগেই অনেকের-ই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। পরে রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি একদিনে ১২ জনকেও ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যান, ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যান, কিন্তু ফখরুল বলেন দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। শুধু আওয়ামী লীগের উন্নয়ন হয়েছে। এখন দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না, খালি পায়ে হাটে না, ছেঁড়া কাপড় পরে না, গ্রামে এখন কুঁড়ে ঘর নেই। আমি তিন কিলোমিটার হেটে বাজারে গেছি, ১০ কিলোমিটার পায়ে স্কুলে গেছি, এখন মানুষ আর পায়ে হাটে না। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন।
বিএনপি বিদেশির কাছে ধর্ণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না, তারা এখন হাঁটা সভা, দৌঁড় সভা, পথসভা, হাঁটু ভাঙ্গা সভা করে বেড়াচ্ছেন। তাদের মুখে এখন হতাশা। জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখিয়েছেন। কারণ: তারা মানুষ পুড়িয়েছে, কোরআন পুড়িয়েছেন, ভারতকে গালিগালাজ করেছেন। তাদের বেলুন ফুটো হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করার আহবান জানান তিনি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আওয়ামী লীগের ভিতরে কিছু আওয়ামী লীগ আছে, যারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। পৃথিবীতে যতদিন বাঙালি থাকবে, বঙ্গবন্ধু ততদিন থাকবেন। বঙ্গবন্ধু আজীবন যে দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন সেটা ছিল বাঙালির মুক্তি।
অনুষ্টানের সভাপতির বক্তেব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শ দিয়ে গেছেন, সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, সংসদ সদস্য, আয়েন উদ্দিন, আদিবা আঞ্জুম মিতা, রাজশাহী মহানগর আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার প্রমুখ।