বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে আবার ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।আশংকা জনক ভাঙ্গনে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা নামক স্হানে দেড়'শ মিটার নদী গর্ভে
বিলিন হয়েছে। এতে করে সারিয়াকান্দি উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলার ভান্ডার বাড়ী ইউনিয়নের অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক লোকের মধ্যে আতন্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীয় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন হলো যমুনা নদীতে উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার কাছে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এবার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে।
স্হানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার থেকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।তবে শনিবার সকালে এখানে যমুনার পানি বিপদ সীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।সুএ আরও জানায়, আগামী ৪/৫ দিন পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে যমুনার বিভিন্ন স্হানে ভাঙগন দেখা দিয়েছে। চর শিমুলতাইড়, চর ঘাগুয়া,চর মানিকদাইড় ও হাটবাড়ি চরে ভাঙ্গনের কারণে শ' শ' হেক্টর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।তবে আশন্কাজনক ভাবে ভাঙ্গছে কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা নামক স্হানে। এখানে গত শুক্রবার সকাল থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙ্গে।যমুনার ডান তীরে ইছামারা নামক স্হানে এ ভাঙ্গনে এরইমধ্যে দেড় "শ মিটার তীর সংরক্ষণের স্পার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৩ 'শ মিটার দূরে রয়েছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন,ভাঙ্গন ঠেকাতে না পাড়লে এ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। এজন্য সারিয়াকান্দির কামালপুর ও পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলার ভান্ডার বাড়ী ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০ টি গ্রামের
প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ বন্যার আতঙ্কে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারিয়াকান্দিস্হ সেকশনাল অফিসার (এস ও)আহসান হাবীব জানান,ইছামারা নামক স্হানে এর আগে প্রায় ৩ শ মিটার যমুনার গর্ভে বিলীন হয়। সে ভাঙ্গন বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।গত শুক্রবারে নতুন করে ভেঙ্গেছে তার ভাটি
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ( এস ডি ই) মোঃহুমায়ুন কবির বলেন, ওই খানে দেড় 'শ মিটার নদী গর্ভ বিলীন হয়েছে.তবে ভাঙ্গন ঠেকানোর এ মুহূর্তে করার কিছু নেই। এজন্য আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এরই মধ্য ভাঙ্গন ঠেকানোর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে খুব শীগ্রই কাজ শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন,ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।