আমরা সবাই কম বেশি জানি প্লাস্টিক ক্ষতিকর। তবে আইনের প্রয়োগ না থাকায় পলিথিন প্রস্তুত ও ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এতটাই বেড়েছে যে, একজন সাধারণ ক্রেতাও প্রতিদিন গড়ে ১৫-১৬টি পলিথিনের ব্যাগ প্রকাশ্যে নিয়ে যাচ্ছেন। চাল, ডাল, লবণ, আলু, পটোল, মাছ, গোশত কিনতে গেলেই পলিথিনে দেয়া হচ্ছে। কিছু দোকানদার পাইকারি ক্রয় করে মুনাফার লোভে খুচরা দোকানদারদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এভাবেই পলিথিন চলে যাচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাছ বিক্রেতার হাতে। বিক্রেতা ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে; কাস্টমার নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে। পলিথিনের ব্যাগ প্রকাশ্যেই বহন করছে জনগণ। পুলিশ প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যবসায়ীরা অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ এলাকাজুড়ে সরবরাহ করছেন। বিকল্প হিসেবে কাগজ ও পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। তখন কিছু দিন বাজারে পলিথিন তেমন পাওয়া যেত না। পরর্বতীতে আবার পলিথিন ব্যবহার চালু হয়। প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। পলিথিন বা প্লাস্টিক পোড়ালে বায়ুদূষণ হয়। আর কোথাও ফেলে দিলে এটা কয়েক শ বছর পর্যন্ত থাকে। এর মধ্যে বিষাক্ত সিসাসহ বিভিন্ন দূষিত উপাদান থাকে। কিছু খাবার এমনভাবে পলিথিনে প্যাঁচানো থাকে, যা খাওয়ার সময় এর টুকরা আমাদের পেটে চলে যেতে পারে। এজন্য আমরা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারি। নদী বা সমুদ্রে অনেক পলিথিন জমা হচ্ছে। অনেক মাছ এ পলিথিন খায়। মানুষ ওই মাছ খেলে তার সমস্যা হবে। ব্যবহার্য প্লাস্টিক এখনই বন্ধ না করলে মানুষের জন্য মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের এখনই মাটি, পাট ও গাছের বিভিন্ন বিকল্প বস্তু ব্যবহারের কথা ভাবতে হবে। তবে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর আইন থাকার পরও কিভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ক্রয় বন্ধ করা যাচ্ছে না? সে ব্যপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো একান্ত দরকার। যাতে পলিথিনের ভয়াবহ দিক সাধারণ লোকজন বুঝতে পারে এবং এ ব্যপারে প্রশাসনকেও আন্তরিক হতে হবে। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকা কতটা জররি, সবার সেটা বুঝতে হবে।