প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে দেশ বিদেশে ইসলামের প্রচার প্রসারে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বর্তমানে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশে ৩৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছেন।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেন, পচাত্তরে ঘাতকেরা জাতির জনককে শহীদ করলেও বাঙালির ইতিহাসকে মুঁছে ফেলতে পারেনি। তারই কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা মানব গার্ড দিয়ে রক্ষা করেছিলাম। দু:খ হয় সরকারী হাসপাতালে ডাক্তাররা সেবা দিবে সেটাই স্বাভাবিক। কে কোন দল করে সেটা দেখার বিষয় নয়। সেদিন ঢাকা মেডিকেলে ডাক্তার পাওয়া যায়নি রক্ত পাওয়া যায়নি, সেদিনের বিভীষীকাগুলো ভোলা যায় না। এরপরেও আমাদের প্রিয় নেত্রী সকল কিছু উপেক্ষা করে এ দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে সুখে শান্তিতে থাকে, বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের সোনার বাংলা সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের ভালোবাসা নিয়ে মানুষকে সম্মান করে তাদেরকে সাথে নিয়েই বাকী জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই। এই শিক্ষা আমি পরিবার থেকে পেয়েছি এবং যার সাথে থাকি জননেত্রী শেখ হাসিনার থেকেও সেই শিক্ষা পাঁচ্ছি। তিনি সমস্ত প্রটোকল ভেঙ্গে নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের যে কাজ গুলো করে থাকেন যা নজিরবিহীন। তিনি সবার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করেন তিনি মনে করেন মানুষের জন্যই রাজনীতি, রাজনীতি নিজের জন্য নহে। সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমিও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। এই অবহেলিত কিশোরগঞ্জকে আমাদের অনুভূতির নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভাই যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন আজকে সেখান থেকে আমরা অনেক দূরে সরে এসেছি। জনপ্রতিনিধি ছাড়া অনেক কিছুই করা যায় না। আমারও একটি স্বপ্ন আছে আল্লাহ পাক যদি রহমত করেন আপনাদের দোয়া থাকে তাহলে অবহেলিত কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুরকে আধুনিক বাসযোগ্য স্মার্ট শহর হিসেবে পরিণত করতে চাই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার মহাপরিচালক মাও. শাব্বির আহমদ রশিদ, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের বিকল্প ইমাম মাও. শোয়াইব আবদুর রউফ, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শামসুল ইসলাম খান মাসুম, ইফার ফিল্ড অফিসার মাও. এনামুল হক বিন ফজলুল হক, সদরের সুপার ভাইজার হাফেজ মাও. একেএম মস্তোফা কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ জাহাঙ্গীর পল্লব, সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম হেলাল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খান।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, ইফার শিক্ষক শিক্ষিকাগণ, মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।