রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগের কাজ করতে উঠে পোলেই বিদ্যুৎ স্পর্শে মৃত্যু হয়েছে এক কর্মির। শনিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলা পাঁচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের মোড়ের পল্লী বিদ্যুতের পোলে।
মৃতের নাম আমিনুল ইসলাম (৩৩)। সে দেবিপুর গ্রামের মৃত আহাদ আলী সোনারের ছোট পুত্র ও তালন্দ ইউপির ৭নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শি ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে চিমনা গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থানন্তেরের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মী আমিনুল ইসলাম পোলে উঠে কাজ করছিলো।
এসময় হাফ হঠাৎ বিদ্যুৎ স্পর্শে পোলেই মৃত্যু বরণ করেন আমিনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শিরা খবর দিলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ২ কর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে পোল থেকে তার লাশ নামায়।
পরে খবর পেয়ে তানোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্বত্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তানোর পল্লী বিদ্যুৎ এর এজি এম কামাল হোসেন বলেন, আমিনুল ইসলাম তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফ না। তাহলে কেনো পোলে উঠে মিটজর স্থানন্তরের কাজ করছিলো এমন প্রশ্নের সদউত্তর দিতে পারেননি তিনি।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুর রহিম বলেন, এ ঘটনায় আইন ব্যবস্থা গ্রহনের প্রকৃয়া চলছে।
এরিপোর্ট লিখার সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম জহুরুল হক, এজিএম কামাল হোসেন ও তালন্দ ইউপি আ' লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল হাসানসহ বেশ কিছু লোক থানায় অবস্থান করছিলেন।
এলাকাবাসী ও পল্লী বিদ্যুৎ তানোর অফিসের কর্মচারীরা বলছেন, আমিনুল ইসলামের বড় ভাই গত ৩ বছর আগে পোলে কাজ করার সময় বিদ্যুৎ স্পর্শে পোলেই মৃত্যু বরন করেছিলেন।
তার পর থেকেই পর্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আমিনুল ইসলাম দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাজ করাচ্ছিলেন।
এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে একই সাথে জনসাধরনের মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের এমন কামখেয়ালী পোনার কারণে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না। এঘটনার বিষয়ে বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসীসহ তার পরিবার।