বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারী পরিপত্রকে উপেক্ষা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় প্রান্তিক মূল্যায়নে প্রশ্ন পত্রে ১'শ নম্বরের স্থলে ৬০ নম্বরের মূল্যায়ন নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিপত্র সূত্রে জানা গেছে, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মূল্যায়ন নির্দেশনা স্পষ্টিকরনে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে কোভিট পরিস্থিতির অব্যবহিত পূর্বে যেভাবে প্রতি প্রান্তিকে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতো সেভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে, পরিপত্রে এমন নির্দেশনা থাকলেও সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান পরিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজস্ব ঘরানায় তার নির্দেশে প্রশ্নপত্রে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৬০ নম্বরের মূল্যায়ন নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ১'শ নম্বরের মূল্যায়ন নিতে বলা হলেও সেই পরিপত্রকে উপেক্ষা করে প্রাথমিকের ২য় প্রান্তিকে ৬০ নম্বরের মূল্যায়ন নিয়েছে এটা শিক্ষা অফিসের খামখেয়ালীপনা। অথচ পার্শ্ববর্তী উপজেলা বামনা তালতলীতে পরিপত্রানুযায়ী ১'শ নম্বরের মূল্যায়ন নিয়েছেন তারা। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফুজ্জামানসহ ৪ শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে তারা নিজেরাই কম্পোজ এবং জনসম্মুখে কোন গোপনীয়তা ছাড়াই বাজারে বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে ফটোকপি করেছে। পরে, ২য় শ্রেণী ২০ টাকা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর প্রশ্নপত্র সেট ৩০ টাকা করে শিক্ষকদের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের বানিজ্য করেন তারা। এ বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুজ্জামান জানান, আমরা পরিপত্র পাওয়ার আগে প্রশ্নপত্র তৈরী করেছি এবং ওই অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়েছি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র প্রনয়নে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে তবে ২য় শ্রেণী ২০, ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণীতে ৩০ টাকা করে সেট প্রতি ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করতে হবে, এর ব্যত্যয় হলে ব্যাপারটি আমি দেখবো।