নোয়াখালীর সেনবাগে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এক নারী সহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮টা দিকে উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের কেশারপাড় শাহ আলমের নতুন বাড়ির দরজায়। ওই হামলার ঘটনায় গুরুত্বর আহত উভয়ের ৬জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে ঃ এছাক মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (৫০), ইয়াছিন (৪৫), বাহার মিয়া (৪০) ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম(২৭), প্রতিপক্ষ আবদু রাজ্জাকের ছেলে জামাল উদ্দিন ও কিরণ আহত বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, কেশারপাড় ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের শাহ আলমের নতুন বাড়ির এছাক মিয়া সঙ্গে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আবদু রাজ্জাকের জায়গা-জমিন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার রাত ৮টার দিকে আবদু রাজ্জাকের ছেলে জয়নাল, সেলিম কিরণ,বশির ও আবদুর রশিদের ছেলে জামালে নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ১০/১২টি মোটরসাইকেল যোগে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এছাক মিয়ার বাড়ির দরজায় গিয়ে অর্তকিতে এছাক মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, জসিম ও বাহার মিয়াকে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন সহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা বাহার মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকেও আহত করে। এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে প্রতিপক্ষ আবদু রাজ্জাকের ছেলে জামাল উদ্দিন ও কিরণ আটক করে পিটুনি দেয় ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থলে ৪টি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে সন্ত্রাসীদের পেলে যাওয়া ৪টি মোটরসাইকের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এঘটনায় থানায় বিকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।