ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রাস্তা নির্মাণের কাজে ঠিকাদারের অনিহার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও কয়েক গ্রামের জনসাধারন। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের লাউতলা থেকে বালিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আম্ফান প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বাজটের রাস্তাটি প্রায় তিন মাস আগে খুড়ে রেখে অদ্যাবধি পর্যন্ত কাজ শেষ হয়নি। অপরদিকে একটি ব্রিজ নির্মান করার জন্য খুড়ে রেখেছে। বড় ঘিঘাটি গ্রামের মধ্যে একটি ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। চলাচলের জন্য পাশবর্তীর্^ রাস্তা করা হলেও তা চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। খুড়ে ফেলা এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কালীগঞ্জ,চৌগাছা,কোটচাদপুর,ঝিনাইদহ,যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে কিন্তু রাস্তা খুড়ে রাখা ও ব্রিজ ভেঙ্গে রাখার কারণে এলাকার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অপরদিকে এ সড়ক দিয়ে ব্যবসায়িক, চাকরিজিবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়,কলেজ ও মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রিরা প্রতিনিয়ত চলাচলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু রাস্তার সমস্যার কারণে তারা ঠিকমত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। কিন্তু দির্ঘদিন খুড়ে রাখার পর অদ্যাবধি পর্যন্ত পিচ বিটুমিন ঢালাই না দেওয়া ও ব্রিজ খুড়ে রাখার কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম হওয়া আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে ওই রাস্তায় চলাচলকারীরা। কাজের ধীর গতিতে ফুঁসে উঠছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি। দ্রুত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারন।
ঘিঘাটি গ্রামের বাসিন্দা দুরুদ আলী জানান, প্রায় তিন মাস আগে রাস্তাটি নির্মানের জন্য খুড়ে ফেলে রেখেছে। কিন্তু দির্ঘদিন পার হলে কাজের কোন অগ্রগতি নেই। বিশেষ করে এ সময় ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে চলাচলাকারীরা। ব্রীজের অজুহাতে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ ফেলে রেখে জনগণের ভোগান্তি দেওয়া উচিত নয় বলেও জানান তিনি।ওই রাস্তায় চলাচলকারী ভ্যান চালন মসলেম উদ্দীন, দির্ঘদিন ধরে রাস্তাটি খুড়ে রাখা হয়েছে কিন্তু কাজ করছে না। আমাদের গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রায়ই ছোাটখালো দূর্ঘটনার সিকার হতে হচ্ছে চলাচলকারীদের। প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও স্থায়ীভাবে সংস্কার হয়নি জনগুরুত্বপূর্ণ এভারে খুড়ে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা রাস্তা ও ব্রীজটি মেরামতের দৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু এখন বিকল্প প্রায় ৫ গ্রামের রাস্থা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচল করা দুরাহ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও ভাঙা সড়কের কারণে সমস্যায় আছেন কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা থেকে শুরু করে হাটে নেওয়ার সময়ও ঘটেছে অসংখ্য দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি। এ রাস্তা টি খুবই ব্যাস্ততম দিন রাত সর্বসময় যানবাহন চলাচল করে থাকে। সামনে অল্প কিছুদিন পরেই কৃষকদের মাঠের ধান কাটতে শুরু হরে তারা এখন চিন্তা করছে ক্ষেতের ধান কিভাবে ঘরে উঠাবে। সবজি চাষিরা তাদের জমির ফসল তুলে বিভিন্ন গ্রামের পখ দিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে যাচ্ছে,তাতে করে বহন খরচ অনেকটাই বেশি হচ্ছে। যে কারণে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাহবুব এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী মাহবুবুর রহমান রুনু জানান, কাজ শুরু করার সময় এলাকাবাসী জানায় ব্রিজটি ছোট হয়ে গেছে। তাদের দাবি ব্রিজটি বড় করতে হবে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর থেকে হেড অফিসের অনুমোতির জন্য পাঠানো হয়েছে। যে কারণে কাজ করতে একটু দেরি হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আজিজ হোসেন জানান, স্থানীয় অধিবাসিদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি ব্রীজ বড় করার অনুমোতি চেয়ে কাগজপত্র হেড অঢিসে পাঠানো হয়েছে। যে কারণে কাজে একটু দেরি হচ্ছে। ব্রীজের অনুমোতি পেলেই কাজ শুরু হবে।