বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী রুদ্র রূপ নিয়েছে। এছাড়াও পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক। যেকোনো মুহূর্তে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। ভাঙ্গনে কারণে আরও ৩"শ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঘড়-দুয়োর নদী গর্ভে যাওয়ার আশঙ্কায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ টি ঘড় -দরজা অন্যএ স্হানাতর করা হয়েছে। সদ্য সরে নেওয়া এসব ঘড় দুয়োরের লোকজন বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গত ৭ দিন হলো যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। উজানে ভাড়ি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলের কারণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে নদীর ডান তীরে ভাঙ্গন দেখা দেয়। গত বুধবার থেকে ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীতে সোমবার সকালে বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন বিপদ সীমা ছুই ছুই করছে। যে কোন মুহুর্তে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে নদী ভাঙ্গন রুদ্র রুপ নিয়েছে। গত ৪ দিনের ভাঙ্গনে উপজেলার কামালপুর নামক স্থানে ৩ 'শ মিটার আবাদি জমি সহ ঘড়- দুয়োর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি পরিবারের লোকজন ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘড়-দোর অন্যএ সরিয়ে নিয়েছেন। এসব পরিবারের লোকজন বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও পরিবারের সদস্যরা খাদ্য কষ্টে ভুগছেন। স্থানীয় কলেজ ছাত্র সিয়াম বাবু ও মোহাম্মদ লালন মন্ডল বলেন, গত রোববার সবচেয়ে বেশি ভেঙ্গেছে নদী। পলকে গাছপালা, ঘরদোর নদী গর্ভে চলে গেল। এমন আগে কখনও দেখিনি। নদী ভাঙ্গন ও বন্যার আশঙ্কায় স্থানীয়রা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সারিয়াকান্দি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও আহসান হাবীব বলেন, ব্যাপক ভাঙ্গনের কারণে পরিত্যাক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে নদী মাএ ১০০ ফুট দূরে রয়েছে। বাড়ি ঘড় ছাড়াও বহু গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ -বিভাগীয় প্রকৌশলী (এস ডি ই) হুমায়ুন কবির বলেন, রোববার নদী ভেঙ্গেছে সব থেকে বেশি, তবে ভাঙ্গন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ও ভাঙ্গন ঠেকানোর অন্য উপকরণ দিয়ে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখন পরিস্হিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি ও নজড়দারী করছেন।
যোগাযোগ করা হলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক বলেন, (ইউ এন ও) এর প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বন্যা ও নদী ভাঙ্গনকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সম্ভ্যাবও সব ধরনের ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে।