বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফার্মেসীতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্যালাইন সংকট, বিপাকে পরছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা। স্যালাইন সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। এই চাহিদাকে পুঁজি করে বেড়েছে স্যালাইনের দাম। আবার ফার্মেসীতে ১০০ টাকা মূল্যের নরমাল স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা পর্যন্ত। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় রোগীদের অনেকের প্লাটিলেট ঠিক রাখতে বেশি প্রয়োজন হয় ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন ও সাপোজিটরির। কিন্তু দিন দিন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ফার্মেসী গুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্যালাইনের সংকট। যে কারণে বিপাকে পরেছেন হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা।
ডেঙ্গু রোগী আয়শা সিদ্দিকা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়ে পাওয়া যাচ্ছে না ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন। হাসপাতালে কিংবা ফার্মেসী গুলোতে ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন না পাওয়ায় অনেক ফার্মেসী থেকে বাড়তি দামে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। ১০০ টাকা নরমাল স্যালাইন কিনতে হয় ২০০ টাকায়। এখন টাকা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স আভা করাতী জানান, ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ইসলাম ফার্মেসীর মালিক খোকন তালুকদার জানান, ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন কোম্পানিগুলোতে অর্ডার দিয়েও পাচ্ছি না। যে কারণে চাহিদা থাকলেও বিক্রি করতে পারছি না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, ইনজেকশনযোগ্য নরমাল স্যালাইন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই একথা সত্য না। অধিক গুরুতর রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল স্যালাইন মজুদ রয়েছে। তবে ফার্মেসী গুলোতে স্যালাইনের সংকট থাকতে পারে। ডেঙ্গু কে পুঁজিকরে একদল অসাদু ব্যবসায়ীরা ঔষধ, স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে।