চট্টগ্রামের কুণ্ডের ছলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় রেললাইনের উপর আটকে পড়া পুলিশের ভ্যান গাড়িকে ট্রেনের ধাক্কায় হতাহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। দায়িত্বে অবহেলার জন্য গেটম্যান মাহমুদ হাসান দিপুকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সামিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অপরদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর-আল-নাসীফকে প্রধান করা ৫ সদস্যের তদন্ত কমিট গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নায়হানুল বারী, সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে সুপারিশ করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছ বলে গেটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ৪ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলা করায় গেটম্যানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সামিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় রেলক্রসিংয়ে আটকে পড়া সীতাকুণ্ড থানার পুলিশবাহী পিকআপ ভ্যানকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে এস্কান্দর আলি মোল্লা, মিজানুর রহমান ও মো. হোসাইন নামে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক সুজন শর্মা, গাড়িচালক সমর চন্দ্র সরকার ও ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন।