পতন কাটিয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো। মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও দুই বাজারেই যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে, তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় চলে আসে। সেই সঙ্গে ছোট হয় দাম বাড়ার তালিকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৯টির। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪০ কোটি ৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। গত কয়েক কার্যদিবসের মতো লেনদেনের শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫০ কোটি ৩১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স ২৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার।এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, ইস্টার্ণ হাউজিং, জেমিনি সি ফুড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ এবং ওরিয়ন ইনফিউশ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৩টির এবং ৯৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।