দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে রাণীরবন্দর ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ সিজার অপারেশনের কারণে লুনা আক্তার (২৭) নামে এক প্রসূতি গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূ গত ২৮ আগস্ট সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। মৃত লুনা আক্তার উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের মন্ডলপাড়ার আশরাফ আলীর মেয়ে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট সোমবার বিকাল ৩টায় লুনা আক্তার প্রসবের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য স্বামীর বাড়ি থেকে রাণীরবন্দর ক্লিনিকে আসেন। ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক তার সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে ক্লিনিকে ভর্তি করান। ওইদিন রাত ১০টার দিকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. রবিউল আলম লুনা আক্তারের সিজার অপারেশন সম্পন্ন করেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে লুনা আক্তারের শরীরে প্রচন্ড খিচুনী ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তার স্বজনরা আরও জানান, পরে রোগীর পেটের উপরের দিকে আরো একটি অপারেশন করে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এতে রোগীর পেট ফুলে যায়। আস্তে আস্তে রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এ অপারেশনের দুইদিন পর লুনার স্বজনরা জোর করে তাকে গত ২৩ আগস্ট বুধবার সকালে ওই ক্লিনিক থেকে নিয়ে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২৮ আগস্ট সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রসূতি লুনা আক্তার মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নয়, ইতিপূর্বেও ওই ক্লিনিকে ভুল অপারেশন করায় এক স্কুলছাত্রী মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. রবিউল আলম ও রাণীরবন্দর ক্লিনিকের পরিচালক রেজার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সিভিল সার্জন এ এইচ এম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।