চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি ও আবেদন ফি কমানোর দাবি জানিয়েছে রাজশাহী জেলা ৩৫ বাস্তবায়ন কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মূল ফটকের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি করা হয়। রাবি শাখার সদস্য সচিব সাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ (৩৩) বাস্তবায়নসহ অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রায় সকল প্রকার চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/পরীক্ষা বন্ধ ছিল। পৃথিবীর অনেক দেশ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর বা তার বেশি ছিল। তারপরেও করোনা মহামারির কারণে চাকুরিতে আবেদনের বয়সসীমা আরো ২-৩ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৭১ বার বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য সুপারিশ করলে তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি অনতিবিলম্বে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছর এবং অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি করা করতে হবে।
আর আবেদনের ফি কমানোর বিষয়ে বক্তারা বলেন, চাকরির আবেদন ফি সর্ব্বোচ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ১ম শ্রেণীর চাকরির জন্য ২০০ টাকা, ২য় শ্রেণীতে ১৫০ টাকা, ৩য় শ্রেণীতে ১০০ টাকা ও ৪র্থ শ্রেণীতে ৫০ টাকা করা। প্রয়োজনে সরকারকে ভর্তুকির উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়াও একই তারিখে ও একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া যাবে।
সংগঠনটির রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক ইনজামা-উল-হক বলেন, ৩৫ আন্দোলন গত দশ-বার বছর ধরে হয়ে আসলেও এখনো তার সুফল আমরা পাইনি। এছাড়াও কিছুদিন আগেও পরীক্ষার আবেদন ফি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ (৩৫) বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে বলা হয়েছিল বয়স বৃদ্ধি করা হবে তখন তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমাদের বার বার আশা দেওয়ার পরেও কেন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা দ্রুত চাকরির বয়স বৃদ্ধি ও ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন বলেন, আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতেই ২৬/২৭ বছর লেগে যায়। সেখানে চাকরি প্রস্তুতি নিতেই আমাদের তিন বছর পার হয়ে যায়। এছাড়াও কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন পরীক্ষা বন্ধ ছিলো। আমাদের জন্য সেটা অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এখন হতাশাগ্রস্ত। তাই সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমাদের নায্য দাবিগুলো পূরণের জন্য সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।