খুলনার কয়রায় শাস্তিমূলক বদলী হলেও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মামুন আদেশ উপেক্ষা করে পূর্বের কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনকালে আবারও রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে অসৌজন্য আচারণ করছে। জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্মরত থাকা কালীন সময়ে একাধিকবার রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, রোগীদের মারপিটে ঘটনা ঘটান। ইতঃপূর্বে পাইকগাছার ৪ সাংবাদিককে লাঞ্চিত ও মারপিট এবং তাদের নামে মিথ্যা মামলাও করেন তিনি। বারবার সংবাদের শিরোনাম হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে গত ৬ অগস্ট কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করেন। সেখানে যোগদান করলেও তিনি পূর্বের কর্মস্থলের কোয়াটার না ছেড়ে দখল করে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। বসবাসের পাশাপাশি নিয়মিত চেম্বার খুলে রোগীও দেখছেন। সোমবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যায় কপিলমুনি ইউপির সিলেমানপুর গ্রামের দুর্ঘটনায় আহত প্রতিবন্ধী মইন বিশ্বাস (১৩)কে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় তার দাদা। এ সময় আহত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসা দিতে বলার অপরাধে তার দাদাকে অকথ ভাষায় গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান শিশুটির দাদা আফসার বিশ্বাস। এ সময় সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মামুনের এহেন কর্মকা-ে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। উল্লেখ্য গত ২০ জুলাই উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার সময় চারজনকে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করার ঘটনায় এক আদেশে বহুল আলোচিত উপজেলার কপিলমুনির আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্তের পর কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী করা হয়। রোগীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচারণের ব্যাপারে জানতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, সে তো বদলী হয়ে কয়রায় চলে গেছে। গত দিনের ঘটনাটি জানার পর আমি তাকে ফোন করেছিলাম। সে আমার কাছে কোয়াটার ছাড়ার জন্য এক মাসের সময় চেয়েছে। তবে সেখানে সে কোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সজিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা প.প. কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।