বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল পণ্যচালান লক করে কায়িক পরীক্ষায় ঘোষনা বহিভূত পণ্য চালান থেকে ৩৭ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করেছেন। সেই সাথে যাত্রীদের ব্যাগজ তল্লাশী করে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার স্বর্ণ আটক করেছেন। গত ছয় মাসে এসব পন্য আটক করা হয় বলে জানান বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের উপ-পরিচালক শায়েক আরেফীন জাহেদী।
গোপন সংবাদের ভিওিতে পন্য চালানগুলো কাস্টমস ও কাস্টমস গোয়েন্দা যৌথভাবে কায়িক পরীক্ষা করে সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়। ইতঃপূর্বে বেনাপোলে কাস্টমস গোয়েন্দায় একজন সহকারী পরিচালক দায়িত্ব পালন করতেন। বর্তমানে একজন উপ -পরিচালক দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের তুলনায় এ বছর রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের উপপরিচালক গোপন সংবাদ পেয়ে ২ টি মাছের চালন আটক করে। পরে তা পরীক্ষা করে ৫ টন ঘোষনাতিরিক্ত ও মিথ্যা ঘোষনার সুইট ফিস জব্দ করে কাস্টমস কর্পক্ষকে অবহিত করেন। পরে কাস্টমস কতৃপক্ষ আমদানিকারককে ২০০ শতাংশ জরিমানা করে ২টি সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করেন। যার আমদানিকারক ছিলেন,বুলবুল ট্রেডার্স ও এসএম কর্পোরেশন। বাতিলকৃত সিএন্ডএফ এজেন্টরা হচ্ছেন, রহমত ইন্টারন্যাশনাল ও সোনালী সিএন্ডএফ এজেন্সি লি:।
বেনাপোল কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের উপ-পরিচালক শায়েক আরেফীন জাহেদী বলেন, মিথ্যা ঘোষনায় সরকারের রাজস্ব ফাঁকি রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে রাজস্ব ফাঁকি রোধে গোয়েন্দা অভিযান জোরদার করা হবে।