"কেউ বা পরিবারের সদস্যদের খাবারের জন্য দুপুরের রান্নাবান্না করছিলেন,কেউবা বাড়িতে গবাদিপশুর গোড়ায় ঘাস দিচ্ছিলেন। আবার আবার কেউ পরিবার শয্যাসায়ী রোগীকে ডাক্তারি চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।এমন সময় বাহিরে হৈ-চৈ কান্নাকাটির শব্দে আশপাশের বাতাস ভাড়ী হয়ে উঠছে। ঘড়-দুয়োর আসবাব পএ -কাথা, বালিশ পলকেই যমুনার গর্ভে চলে যাওয়া দৃশ্য দেখে সবার চোখে -মুখে আহাজারি। গরু, ছাগল, হাস, মুরগি ও ভেসে যায় ওই স্রােতে। কোনো কিছু বুঝে না উঠতেই, দেখতে দেখতেই ২০-২৫ মিনিটে নদী গর্ভে সবকিছু চলে গেলো, কারই কিছু করার ছিলোনা "। ইছামারা গ্রামের রেজাউল করিম,লালন মন্ডল ও সাহেরা বেগম ঘটনার এমন বর্ণনা দেন। সারিয়াকান্দির কামালপুরের ইছামারা নামক স্হানে গতকাল বৃহসপতিবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে।জানা যায়,সেখানে চলতি মাসের প্রথম থেকেই পানি বৃদ্ধির সাথে, ওই স্হান ছাড়াও পাশ্ববর্তী কামালপুর ফকির পাড়া, টিটুর মোড় ভাঙ্গন দেখা দেয়।কয়েক দিনের ভাঙ্গনে প্রায় ৮ শ মিটার নদীর স্পার, ফসলি জমি ও বসত-ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সর্বশেষ আকস্মিক ভাবে ভাঙ্গনে ইছামারা নামক স্হানে। ১৪/১৫ বছর আগে নদীতে সহায় সম্বল হারিয়ে ওই স্হানে পরিত্যাক্ত বাঁধের উপর বসবাস করছিলেন তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাঙ্গনে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
ইছামারা গ্রামের রেজাউল করিম বলেন,ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ঠিকাদারেরা কাজ করেছিলো ঠিকই কিন্তু কাজের কোনো গতি ছিলোনা। যার কারণে হঠাৎ সেখানে বাড়ি ঘড় গুলো নদীর পানিতে ভেসে যায়।এ কারণে সেখানকার মানুষদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধে বসবাসরত ২ শতাধিক পরিবার বাড়ি ঘড় ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। পরিবার গুলো পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।কামালপুর,ইউনিয়নের সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, গতকাল হঠাৎ করে বড় রকমের বিপর্যয় হয়েছে। আমরা তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি।পি আই ও সাইফুল ইসলাম বলেন,গতকাল থেকেই আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি। পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তা (এস ডি ই)ভাঙ্গন এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।শুক্রবার সকালে পানি বিপদ সীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।