দীর্ঘ ১২ বছর পর অবশেষে আবাদি জমি জঞ্জাল মুক্ত হলো।দীর্ঘ দিন পরে হলেও জঞ্জাল মুক্ত হয়ে জমিতে মাসকালাইয়ের বীজ বপন করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন কৃষক।ওই জমির মালিক হলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ী মৌজার হরিনা গ্রামের সুরুতজ্জামান মন্ডল।
শনিবার জমিতে আত্মীয় -স্বজন সাথে নিয়ে মাসকালাইয়ের বীজ বপন করার পর তিনি সবার সামনে আনন্দ প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি বলেন,অনেক দিন পরে হলেও আদালত আমাদের ন্যায্য বিচার করেছেন। সে সেজন্য আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই সুরুতজ্জামান মন্ডল ও তার অংশীদারদের সি এস খতিয়ান ১২১২ আর এস খতিয়ান ১৫৩৮ দাগ নংঃ৫২২৯ তে ৮১ শতকের কাতে ৬০ শতক জমি পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয় এবং জমি ভোগ দখলো করেন তারা। কিন্তু একই গ্রামের বজলার রহমান বকুল,হারুন অর রশিদ হারুন,পলি আক্তার, হাবীবা আক্তার ইতি ও রুবাইয়া ইয়াসমিন জমিটি গায়ের জোড়ে ভোগ, দখলের চেষ্টা করেন।
সুরুতজ্জামান মন্ডল জমিতে হাল চাষ করতে গেলে, মহিলারা হালের সামনে দাঁড়িয়ে পরে এবং শ্লীলতাহানিও করার হুমকি দেয়।এছাড়া ও মহিলারা বগুড়ার জেলা আদালতে ২০১১ সালের মার্চ মাসে মামলাও দায়ের করেন।এরপর থেকেই জমিতে হালচাষ বন্ধ হয়ে যায়। জমিতে গজায় ফসলের পরিবর্তে লম্বা লম্বা ঘাস ও জংগল।পরে আদালতের রায়ের পর চলতি বছরের ২৩ শে মার্চ ওই জমিতে গেলে আবারও জীবন নাশের ও শ্লীলতাহানীর মামলা ঠুকে দিবে বলেও হুমকি দেয়।ভয়ে সুরুজ্জামান মন্ডলরা জমি থেকে ফিরে আসেন। এ নিয়ে পরে সুরুজ্জামান মন্ডল থানায় অভিযোগে করেন। এরপর গতকাল শনিবার সকালে জমিতে গেলে প্রতিপক্ষদের কেউ আর আসেননি। সুরুতজ্জামান মন্ডল জমির আইল ও ঘাস - জংগল কর্তনের পর মাসকালাইয়ের বীজ বপন করেন।এ সময় আশপাশ গ্রামের শতাধিক উৎসুক লোকজন জমায়েত হোন।
প্রতিবেশী আলি প্রামানিক, আবুল হাসান ও ময়মন বিবি বলেন, সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আমরাও খুশি।