সক্রিয় রাজনৈতিক কোন দল করে না। যেহেতু জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল সাংবাদিক এবং চেতনায় কুষ্টিয়া পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সেহেতু তাকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য একটা স্বতন্ত্র অবস্থানে নিজেকে রাখার চেষ্টা করে। তবে আদর্শের জায়গা থেকে আদর্শিক ভাবে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে লালন করে। তার সংগ্রামী জীবন তাকে প্রভাবিত করে। দেশ তথা জাতীর জন্য বঙ্গবন্ধু’র উৎসর্গ তাকে বর্তমান প্রজন্মের জন্য অনুপ্রাণিত করে। দল নয় নিজ দায়িত্ববোধ থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু একটা করার স্বপ্ন ছিলো অনেক দিনের, জাতির জনকের শতবর্ষ পূর্তি উপলেক্ষ ১৯৭১ পরবর্তী দুই বাংলার প্রখ্যাত কবি সাহিত্যিকের লেখা বাছাইকৃত কবিতা সংগ্রহ করে বঙ্গবন্ধু কীর্তিতে অবিনশ্বর বইটি সম্পাদনা করে ভেড়ামারার কৃতী সন্তান এবং চেতনায় কুষ্টিয়া পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল। বইটি পাঠক মহলে নন্দিত হয়। এই বইটি সম্পাদনা করতে যেয়ে তাকে দিনের পর দিন রাতে পর-রাত পরিশ্রম করতে হয়। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম একত্র হয়ে মুজিব বর্ষ-২০২১ সালে বঙ্গবন্ধু কীর্তিতে অবিনশ্বর বইটির আত্ব প্রকাশ ঘটে। জানামতে শুধুই বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে লেখা কবিতা গ্রন্থ বাংলাদেশ এটাই প্রথম। বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসে এই বইটি তাদের খুদার্তের জন্য অন্নদান স্বরুপ। দেশ বিদেশ থেকে বার্তা পাঠিয়ে অনেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু দৃর্ভাগ্য এই বইটি সম্পাদনের পর থেকে তার জীবনে আমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করে আসছে। সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের সময় একটি স্বার্থানেষী মহল তাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। স্বার্থনেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক কর্তা নেতাদের তৈলমর্দনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মহলটি এতটাই তৈলমর্দনে মনোনিবেশ করে যে, রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভুলুন্ঠিত করতে দ্বিধা বোধ করেনি। এ ধারাবাহিকতায় চলমান একটি প্রেসক্লাবকে ক্ষমতার বলে কুক্ষিগত করে নেয়। রাজনৈতিক কর্তা ব্যাক্তির সবুজ সংকেত ব্যাতিরেকে প্রেসক্লাবের মত একটি স্পর্শ কাতর প্রতিষ্ঠানে হানা দিতে পারে না কেউ, এটা প্রতিয়মান। এ ঘটনায় সুধী সমাজের বুকে বিবেকের কালো দাগ পড়ে। সুধী সমাজ প্রকাশ্য প্রতিবাদ করতে পারেনি অশনী সংকেতের ভয়ে। স্বার্থনের্ষী মহল শুধু প্রেসক্লাব দখলে ক্ষান্ত হয়নি। ভেড়ামারার সবচেয়ে প্রবীণ বুদ্ধিদীপ্ত সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় হয়রানী অব্যাহত রেখেছে। অথচ এই প্রবীণ সাংবাদিক তার বহু লেখনী দিয়ে ক্ষমতাশীল ও শরীক দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে বেগমান ও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। অথচ প্রতিদান স্বরুপ তিনি পেয়েছেন মিথ্যা মামলার ঝুলি ও হয়রানী।
দ্বার্থহীন ভাষায় বলতে চায় তিনি যা দিয়েছি বা ভবিষ্যতে দেব,তার ঋণ পরিশোধ করার মত সচ্ছলতা তৈলমর্দন গ্রহনকারী রাজনৈতিক নেতাদের নাই। পরিশেষে বলতে চাই আপনারা যা করছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তা নয়। বহুবন্ধুকে যারা ভালবাসে তাদের অন্তত সম্মান না দেন, প্রতিপক্ষ দৃষ্টিতে দেখবেন না, প্লিজ। কারণ বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসে আর যাই হোক তারা আপনাদের সু দিনে পাশে না থাকলেও দুর্দিনে পাশে থাকাবে এটা সুনিশ্চিত।#