হংকংয়ে আঘাত হানার পর চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ে আছড়ে পড়েছে টাইফুন সাওলা। এ সময় তীব্র বাতাস ও অতিবৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি উপকূলের নিচু এলাকাগুলোতে বন্যাও হয়েছে। তীব্র বাতাস দেখা যায় প্রতিবেশী শেনজেন ও মাকাওতেও। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, টাইফুন সাওলার জেরে হংকং এবং চীনের কয়েকটি প্রদেশে শুক্রবার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গুয়াংডং ও ফুজিয়ান প্রদেশের ৯ লাখ লোককে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ঘূর্ণিঝড়টির জেরে হংকংয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাত্র ১৬ বার চীনের প্রশাসনিক অঞ্চলটিতে সতর্কতা জারি করা হয়। সাওলা ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে বলে জানা গেছে। এদিকে, আজ ভোরের দিকে টাইফুন সাওলা হংকং অতিক্রম করে। পরে, এটির তীব্রতা কমে যায় ও উপকূলীয় অঞ্চল ছেড়ে চীনের মূল ভূখণ্ডের দিকে অগ্রসর হয়। ২০১৮ সালের টাইফুন মানগুহাটের মতো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সাওলার জন্য এখনও জনসাধারণদের অ্যালার্ট থাকতে বলছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, বর্তমানের টাইফুনটির কেন্দ্রস্থলে বাতাসের বেড় ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। গতি কমলেও তীব্র বাতাস ও অতিবৃষ্টি দেখা যাবে। হংকংয়ে অবস্থান করা এএফপির সংবাদকর্মীরা জানান, চীনের প্রশাসনিক অঞ্চলটির রাস্তায় ভাঙা কাঁচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে রয়েছে। অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহরে গাছ পড়ে একজন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে। শহরটিতে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। গুয়াংডংর রেল পরিষেবা স্থানীয় সময় আজ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ফের চালু করা হবে।