কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আল্লারদর্গা এলাকায় ভাঙা সড়কে প্রতিনিয়ত উল্টে পড়ে থাকছে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। শুস্ক মৌসুমেও উল্টে হামাগুড়ি খাচ্ছে সাধারণ মানুষ, আবার বর্ষা মৌসুমে ঐ সড়কে কাদা পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী, পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীরা। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের আল্লারদর্গা বাজার থেকে কারিগরপাড়া আমদহ মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬‘শ মিটার সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এটি জেলা শহর সহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে দৌলতপুর উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়ক। পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া এই এলাকায় ৬/৭ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার সহ এশাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ভাঙা সড়কের কাদা জলে শিক্ষার্থী, শ্রমিক কর্মচারীসহ প্রতিদিন যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষকে চরমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন কয়েক হাজার ভারী যান বাহন সহ ছোট অসংখ্য যানবাহন সমুহ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। ২০১৬ সালে ও পরবর্তীতে ২০২১ সালে ভেড়ামারার বারোমাইল থেকে দৌলতপুর থানা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার করা হলেও অল্প সময়ের মধ্যে আল্লারদর্গা বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সড়কটির এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সেখানকার বাসিন্দা ও আল্লারদগা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার জালাল উদ্দিন জানান, প্রতিদিনই কোন না কোন যান বাহন উল্টে যাচ্ছে। মানুষের অবর্ননীয় দুর্ভোগ আমাদের দেখতে হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম আজাদ খান জানান, ঐ সড়কটির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ তারা করে দিবেন। ঠিকাদার মইন উদ্দিন কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী কাজ না করলে ঠিকাদারের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। তাছাড়া, দ্রত পদক্ষেপ নেবার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিদপ্তরে পত্র পাঠানে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।