নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়িঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৩টা থেকে ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি।
এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে অনিল দাস (৪৫) নামের এক মৎস্যজীবী সোনাডুবি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। অনিল দাস কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত্যু ঈশ্বর দাসের ছেলে। অন্য দিকে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন আবদুল কুদ্দুস (৩৮) নামের আরও এক মৎস্যজীবী। তিনি উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের আবদুল মোতালিব এর ছেলে ৮ মৎস্যজীবী বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের পাশে বানবিলে মাছ ধরতে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে আবদুল কুদ্দুস (৩৮) নিখোঁজ হন। তবে ওই নৌকায় থাকা ৭ মৎস্যজীবী সাঁতার কেটে বিলের পাড়ে উঠতে সক্ষম হন।
স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক’শ গাছ উপড়ে গেছে। কিছু গাছ ভেঙে বসতঘরের ওপরে পড়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎতের তারের উপর গাছের ডাল এবং গাছ ভেঙে পড়েছে এবং অনেক জায়গায় বিদ্যুৎতের খুটি হেলে গেছে এবং বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রয়েছে।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে।