বেনাপোল বন্দরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দখল নিয়ে দুই দল শ্রমিকের মাঝে সংঘর্ষে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের সহকর্মীরা তাদেও উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা করেছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় শ্রমিকদের একটি অংশ বন্দরে মালামাল লোড আনলোড ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যের মতায়ন মোতায়েন করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আহত শ্রমিকরা হলের বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৪৫), শ্রমিক নেতা হাসেম (৩৩) ও গোলম মোস্তফা (৩৪) আহত হয়।
বেনাপোল বন্দরের স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন ও সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সমর্থক শ্রমিক রয়েছে। সোমবার সকালে হঠাৎ করে তাদের দুটি পক্ষ বন্দরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই শ্রমিক নেতাসহ তাদের আরো কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্দরের মধ্য থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বের করে দিয়ে বন্দরের পুলিশ ও আনছার সদস্যরা নিয়ন্ত্রন নিয়েছে। যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে বন্দর এলাকা থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেণ, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ বন্দর সড়কে টহল দিচ্ছে।