গাজীপুরের কালীগঞ্জে জনসাধারণের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, সুবিধা, শালীনতা ও নৈতিকতার প্রতি অপরাধ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করার অপরাধ, নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ঔষুধ, মাদকদ্রব্য, চাপাতি, ছুরি রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত তিনজনকে অর্থদন্ড ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে এবং একজন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কালীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজিজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া।
থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে ফুটপাথ দখল করে জনসাধারণের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, সুবিধা, শালীনতা ও নৈতিকতার প্রতি অপরাধে পৌরসভার দড়িসোম গ্রামের ছিদ্দিকের পুত্র মাহাবুব হাসান হৃদয়কে (২৪) তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আজিজুর রহমান। এছাড়াও কালীগঞ্জ বাজার পুরাতন ব্যাংকের মোড় এলাকায় একটি মাস্কের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান যৌন উত্তেজক ঔষুধ, মাদকদ্রব্য, ৬টি চাপাতি, ১টি রামদা ও ১২টি সুইস আর্মি চাকু উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকান মালিক দড়িসোম গ্রামের আল আমিনের পুত্র পায়েল (৩৭) দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে একই রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট করায় উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের উত্তরসোম মিরাপাড়া গ্রামের আক্তার দেওয়ানের পুত্র নাসিম আলভী (১৯) ও আবদুল খালেকের পুত্র মো. নাহিদকে পৃথকভাবে একশত টাকা করে জরিমানা ও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া। এ সময় সাথে ছিলেন বেঞ্চ সহকারী মাহাবুব আলম, আনসার ও পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাব্বির রহমান জানান, ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার নং ৭৫/২০২৩ ও ৭৬/২০২৩। সোমবার দুপুরে অভিযুক্তদের গাজীপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পায়েলের দোকান থেকে নিষিদ্ধ ঔষুধ, মাদকদ্রব্য, চাপাতি, ছুরিসহ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। সে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।