বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দূনীর্তির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা। নিয়োগ স্থগিত করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া ও নৈশ প্রহরী শুণ্য পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ৩১ মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরে আয়া পদে ৭ জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৩ জন আবেদন জমা পরে। গত ২ সেপ্টেম্বর বরিশাল শহীদ আরজুমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বসে আয়া পদে ৫ জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৩ জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আয়া পদে ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী(দপ্তরী)কাজী মহসিনের স্ত্রী নাবিলা বেগম এবং কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ফারহানা অংশগ্রহণ করেন। নাবিলা বেগমর আত্মীয় ফারহানা। নাবিলা আত্মীয় ফারহানা হওয়াতে, লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় নাবিলার খাতায় ফারহানা লিখেদিয়ে খাতা জমা দেয়। এর পরে নাবিলা বেগমকে আয়া পদে ও নৈশ প্রহরী পদে হরবিলাস বিশ্বাসকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। নিয়োগ বঞ্চিত ৪ প্রার্থীরা অভিযোগ করেন ভালুকশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান পিন্টু ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদাত কাজীকে ম্যানেজ করে ঘুষ ও দূর্নীতির মাধ্যমে নাবিলা বেগমকে আয়া পদে নিয়োগে মনোনিত করেন। এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিয়োগে দূনীর্তি ও ঘুষের অভিযোগ তুলে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে ভালুকশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.হাবিবুর রহমান পিন্টু বলেন, আয়া ও নৈশ প্রহরী পদে কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি করা হয়নি।স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদাত কাজী সাংবাদিকদের বলেন, বরিশাল শহীদ আরজুমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আগৈলঝাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক ও আমার উপস্থিতে পরীক্ষা হয়েছে। ওখানে একজনের খাতা অন্যজনে লিখে কি ভাবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাৎক্ষনিক ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে ফোনের মাধ্যমে নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছি।সাথে সাথে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলমকে বিষটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।