সপ্তম শ্রেনীতে পড়-য়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় সালিশ বৈঠকে ধর্ষকের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। টাকা পরিশোধের জন্য ধর্ষক ১৫দিন সময় নিয়ে আত্মগোপন করায় অবশেষে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেঁতলা গ্রামের।
বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বানারীপাড়া থানার ওসি এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, তেঁতলা গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীকে গত ৫ আগস্ট ভোরে কৌশলে একই গ্রামের খেয়া নৌকার মাঝি তিন সন্তানের জনক মো. ইউসুফ তার বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়িতে ফিরে ওই ছাত্রী তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। তারা ওইদিনই থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিলে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া বিচারের আশ্বাস দিয়ে মামলা দায়ের করতে বাঁধা প্রদান করেন। ঘটনার চারদিন পর ইউপি সদস্য দুই পক্ষকে নিয়ে তার বাড়িতে বসে শালিস বৈঠকে ওই ছাত্রীর ইজ্জতের মূল্য ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেন। ওই বৈঠকে স্থানীয় সেলিম, মোক্তার হোসেন ও শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক ইউসুফ জরিমানার টাকা দেয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় নিয়ে আত্মগোপন করেন। উপায়অন্তুর না পেয়ে অবশেষে নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শালিস বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্যরা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা স্বীকার করলেও ইউপি সদস্য মন্টু মিয়া অস্বীকার করেন।