খুলনার পাইকগাছায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় দুই আইনজীবী সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতের চার্জশিট দাখিল ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। মামলার এজাহারকারী উপজেলার শান্তা গ্রামের জুম্মান জোয়াদ্দারের স্ত্রী পারভিন বেগম। তিনি তার স্কুল পড়-য়া কন্যা জলি খাতুনকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণে সহায়তার অভিযোগে পাইকগাছা থানায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী ২৩ একটি মামলা করেন। যার নং ১৫। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। গত ২৪ মার্চ ২৩ আদালতে পৃথক পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। যার একটিতে নোটারি পাবলিক আইনজীবী সমীর কুমার বিশ্বাস ও অপর আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান মন্টু, মহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির ও ফারুক মিস্ত্রি। আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার আবেদন করা হয়েছে। একই সাথে মামলায় জড়িত কিশোর রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ও পৃথক অভিযোগ পত্র দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেন। পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলা নং ৪৭/২৩, বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ পত্র দুটি সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত এবং শিশু ও কিশোর আদালত খুলনায় বিচারের জন্য প্রেরণ করেন। খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের মামলা নং ১০৮/২৩, অতঃপর খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ২ এর বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ পত্র গ্রহণ পূর্বক গত ৫ সেপ্টেম্বর ২৩ অভিযুক্ত দুই আইনজীবী সহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে মামলার এজাহার কারী পারভিন বেগম জানান।