বাগেরহাটের শরণখোলায় পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাগেরহাটের শরণখোলায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ আশরাফুল ইসলাম, রাজৈর সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল জলিল আনোয়ারী, রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইয়েদুল হক।
১৯৭৩ সালে ঠাঁকুরগায়ে স্বাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়। এ্কই বছর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় ঠাকুরগায়ে। ঠাকুরগায়ের কচুবাড়ি কৃষ্টিপুর গ্রামকে বাংলাদেশের প্রতম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ। শতভাগ স্বাক্ষরতা অর্জনে সরকারের নিরন্তর প্রয়াস অব্যহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হল জাতিসংঘ শিক্ষাবিজ্ঞান ও সংস্কৃতিসংস্থা বা ইউনেস্কো ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো দিবস টি উদযাপিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য ব্যক্তি সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যে সংবিধান প্রণীত হয় তার ১৭ নং অনুচ্ছেদে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং শিক্ষাতে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সাক্ষরতা বিস্তারে ১৯৭২ সালের স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো স্বাক্ষরতা দিবস উদ্যাপিত হয়।