গ্যাস প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্যাসের অপচয় রোধ করুন। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবশেষে ফাঁকা পাইপে জমা হল গ্যাস। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল দেশের উত্তরাঞ্চলে সৈয়দপুরে গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। সে অনুযায়ী সৈয়দপুর কয়াগোলাহাট এলাকায় গ্যাস সংরক্ষণের জন্য কারিগরি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বগুড়া,রংপুর, সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারা টেস্টিং এ- প্রি কমিশনিং কার্যক্রম চলে। এটি ৩০ ইঞ্চি ব্যাস, ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ বগুড়া, রংপুর, সৈয়দপুর প্রকল্প।
এটির বাস্তবায়ন করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড ( জিটিসিএল)। এটি পেট্রো বাংলার একটি কোম্পানি। এটির উদ্যোগী বিভাগ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে সহযোগিতা করছে পাইপ লাইনার্স লিমিটেড।
৯ সেপ্টেম্বর এটির কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করতে আসেন প্রধান অতিথি কেম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুখসানা নাজমা ইসহাক।
এ সময় সাথে ছিলেন প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক আইনুল কবির (ইএসডি), মহাব্যবস্থাপক পরিকল্পনা আবু সাঈদ মাহমুদ,পরিচালক অপারেশন জাহির উদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম (কিউএসএ), মহাব্যবস্থাপক আলী হেসেন (সঞ্চালন), প্রকল্প পরিচালক আবদুল মোমেন (অবট্রান্সমিশন),ঠিকাদার সফিকুর রহমান
সহ অনেকে।
এ সময় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুখসানা নাজমা ইসহাক বলেন, পাইপের ভিতরে এতোদিন গ্যাস ছিল না। ছিল নাইট্রোজেন। এখন নাইট্রোজেন পাইপ থেকে বের করে ফেলা হল। পাইপে এখন জমা হল গ্যাস।
তিনি বলেন শুধু উত্তরা ইপিজেড নয়। পর্যায়ক্রমে সকল সেক্টরে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা এবং সফলতার কথা তুলে ধরেন। সাথে কাজটি সুন্দরভাবে শেষ হওয়ায় এখানের সাংবাদিকসহ সকলকে ধনয়বাদ জানান।