প্রেম-ভালোবাসাসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছিল ২ নারী ইউপি সদস্যের প্রধান কাজ। এ কাজে সহায়তা করত আরও দু’জন। শুক্রবার রাতে এ চক্রকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ ডিবি পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দীন জানান, শুক্রবার কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ উপজেলাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের কাছ থেকে ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার কর হয়।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জের ও ঝিনাইদহে নারী-পুরুষের একটি চক্র বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাতাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করে আসছিল। এরপর ভূক্তভোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে সম্মানহানি করার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করতো। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপর আড়াইটার দিকে এ চক্রের সদস্য রুহানি আক্তার ওরফে শিলার মাধ্যমে প্রেম-ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগী হারুনর রশীদকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে মহারাজপুর ইউনিয়নের ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ নুরনেহা। এ সময় তিনি তাদেরকে নিজ বাড়ি ইউনিয়নের কুলফাডাঙ্গা গ্রামে রাখে। এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং ধারণকৃত অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১ লাখ ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
হারুন অর রশীদ বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরে অভিযান চালিয়ে অপরাধ চক্রের সদস্য কুলফডাঙা গ্রামের বাবলু মন্ডলের স্ত্রী মোসাঃ নুরনেহা (৪০), করাতিপাড়া গ্রামের হাসান মন্ডলের স্ত্রী ও ইউপি নারী সদস্য জাহানারা বেগম (৬০), কালীগঞ্জ উপজেলার রাকড়া গ্রামের আবদুল জলীল মন্ডলের মেয়ে রুহানি আক্তার শিলা (২০), ঝিনাইদহ কুলফাডাঙা গ্রামের মসলেম মন্ডলের ছেলে আজিম মন্ডল (৩৫) আটক করে।
আটককৃত আসামিদের হেফাজত হতে অভিযোগকারীর কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার মধ্যে ৫৯ হাজার-টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অপরাধ চক্রের পলাতক অন্যান্য সদস্যদের আটক অভিযান অব্যাহত আছে।