ঝিনাইদহের এক পল্লী চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে ৫ মাসের শিশু আনিচুর রহমানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শিশু আনিচুর রহমানকে শুক্রবার বিকালে ওষুধ খাওয়ানোর পর রাতেই তার করুন মৃত্যু হয়। নিহত শিশু ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ঝিটকিপোতা গ্রামের আশানুর রহমানের ছেলে।
নিহত শিশুর মা জানান, শুক্রবার বিকালে আমার ছেলে পাতলা পায়খানা জনিত রোগে অসুস্থ হলে জিন্নাহনগর বাজারে আবদুল হান্নানের ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। চিকিৎসক হান্নান শিশুটিকে দেখে টোজা ও ইরোমাইসি সিরাফ দেন। পরে বাড়িতে নিয়ে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবনের পরই আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্ধায় শিশুটিকে জিন্নাহনগর বাজারের জুলফিকারের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে অক্সিজেনও দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঐ পল্লী চিকিৎসক হান্নানের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শিশুর পরিবারের দাবি পল্লী চিকিৎসক আবদুল হান্নানের ভুল চিকিৎসার কারনেই শিশু আনিচুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।
পল্লী চিকিৎসক আবদুল হান্নান জানান, শিশুটির সামান্য পাতলা পায়খানা জনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। আমি তাকে টোজা ও ইরোমাইসিন দিয়েছিলাম। তবে শিশুটির যশোরে চিকিৎসা চলছিল। মাত্র দুদিনের সামান্য ডায়রিয়াতে এান্টিবায়টিক দেওয়া হলো জানতে চাইলে পল্লী চিকিৎসক আবদুল হান্নান জানান, এটি দেওয়া যায়। সাথে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে বলা হয়েছিল।
এদিকে শিশুটির মৃত্যুর পর পল্লী চিকিৎসক দোকান বন্ধ করে বিষয়টি মিমাংসার জন্য এলাকার নেতাদের কাছে তদবির শুরু করেছেন। তবে পরিবার জানিয়েছেন এখনও থানায় বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অভিযোগ দেয়নি।