সাক্ষরতা একটি দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শিক্ষার সাথেও সাক্ষরতার রয়েছে নিবিড় যোগসূত্র। দেখা গেছে যে দেশে সাক্ষরতার হার যত বেশি সে দেশ তত বেশি উন্নত। তবে সাক্ষরতার সাথে সাথে শিক্ষার হার বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। একসময় স্বাক্ষর বলতে কেবল অক্ষর জ্ঞানের সাথে নিজের নাম লিখতে পারার দক্ষতাকেই বোঝানো হতো। তখনকার প্রেক্ষাপটে এইটুকু অর্জন করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমানে সাক্ষরতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো। আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তিন নম্বরে, ভারতের চেয়েও এগিয়ে। ফলে বৃহৎ সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতার বাইরে রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বাংলাদেশে মোট সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। আর নিরক্ষর রয়েছে ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে সাক্ষরতার এই হারেও সস্তুষ্ট নয় বাংলাদেশের উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যুরো, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টরা। তাই এসব লক্ষ্য পূরণ করতে হলে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর শুধু সাক্ষরতা পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্য নয়। সাক্ষরতার সঙ্গে দক্ষতা থাকতে হবে। ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রাসহ সব লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য রোডম্যাপ করে এগুতে হবে এবং পরিকল্পনা করে, বিনিয়োগ করতে হবে।’ গণশিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। যেমন ঝরে পড়া শিশুসহ বয়স্কদের প্রায়োগিক সাক্ষরতা অর্জন করাতে বিনিয়োগ করতে হবে গণশিক্ষায়। কার্যকরী সাক্ষরতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরি করে তাদের কাজে লাগাতে হবে। এসব ছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জন বা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। এসব সমস্যাকে মোকাবেলা করতে পারে কেবল শিক্ষা। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সবার জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। বিশ্বের মানচিত্রে একটি সুশিক্ষিত এবং উন্নত জাঁতি হিসেবে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে একজন সুনাগরিক এবং স্বয়ংসম্পুন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি নাগরিকেই সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নিরক্ষতার অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতার জরুরী। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ কার্যকর করতে হবে।