বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিতে যাতে কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে ইমামদের সচেতনভাবে ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার)।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলার ইমামদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহসিনের সঞ্চালনায় ওই মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতিতে যাতে কেউ বিভেদ তৈরি করতে না পারে, ধর্মীয় অনুভূতিতে যাতে কেউ আঘাত না করতে পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। ধর্মীয় কোন বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি হলে নিজেরা বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তিকর কোন কিছু ঘটলে সেটা নিয়ে যাতে বাড়াবাড়ি না হয় সেদিকে ইমাম সমাজের ভুমিকা রাখতে হবে। মসজিদে বয়ানের সময় এসব বিষয় তুলে ধরতে হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, ধর্মভীরুতার জন্যও অনেক সময় মানুষ জঙ্গীবাদের মত বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে। ইসলামের পূর্ণ ও সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে খুব সহজেই তারা বিভ্রান্ত হয়। মসজিদে ইমামগণ যদি এসব বিষয় ব্যাখ্যা করে আলোচনা করেন তাহলে জঙ্গীবাদ বা সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এসব ক্ষেত্রে ইমামদের ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গুজব প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বর্তমান আধুনিক যুগে মোবাইলে কোন কিছু দেখলে সেটা নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে যাচাই-বাচাই করে বিশ্বাস করতে হবে। এসব বিষয়ে ইমামদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মসজিদে আলোচনা করার মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লীদের এসব বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইমামদের মর্যাদা অনেক। আপনাদের মর্যাদা আমরা রাখার চেষ্টা করব। কোন কাজে ইমাম সমাজের কেউ পুলিশের কাছে আসলে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায়, মৌলভীবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল কাদির, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ শামসুল ইসলাম প্রমুখ।