বজ্রপাতের ঝুঁকি মোকাবেলায় ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে খুলনার পাইকগাছা কৃষি অফিসের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাশিমনগর আশ্রয়ণ প্রকল্প, শ্মশান ঘাটসহ সেখানকার বিভিন্ন এলাকায় তালের বীজ রোপণ করা হয়েছে। এ সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ ও পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রদর্শনী, ফল ও প্রযুক্তি গ্রাম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি অধিদপ্তর খুলনার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মহাদেব চন্দ্র সানা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (পিপি) এস এম মিজান মাহমুদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, এসএপিপিও বিশ্বজিৎ কুমার। উপস্থিত ছিলেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ইয়াসিন হোসন, নাহিদ খান। এ ছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক, কৃষক, শ্মশান কমিটির নের্তৃবৃন্দ, আদর্শ গ্রামের বাসিন্দারা। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হন ও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা পারিবারিক পুষ্টিবাগান, ফল ও প্রযুক্তিসহ তালগাছ রোপনের গুরুত্ব তুলে ধরে সকলকে এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশীদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেন। বিশেষ করে বজ্রপাতের ঝুঁকি মোকাবেলায় তাল গাছ রোপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কাশিমনগরস্থ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের বাসিন্দাদের দেওয়া পারিবারিক পুষ্টিবাগান পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেন। এ সময় যাযাবর জীবন থেকে নীঁড়ে ফেরা মানুষের নতুন করে বেঁচে থাকার গল্পকথার সাথে কৃষির যোগসূত্র দেখে অভিভূত হন কর্মকর্তারা। এ সময় বাসিন্দাদের দাবিতে তাদের সাথে ছবি তুলেন তারা। কপোতাক্ষ নদের চরভরাটি জমিতে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা ছিন্নমূল মানুষের বসতি ও পাশ ঘেঁষে বনায়নের সাথে আলতো কৃষির ছোঁয়ায় নতুন প্রাণ ফিরেছে আশ্রয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে। সর্বশেষ কৃষির বিশিষ্টজনদের একসাথে উপস্থিতিতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকেই।