সুন্দরবন উপকূলীয় খূলনার পাইকগাছায় পল্লীতেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। গত প্রায় একমাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ¦রে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ৫০ জন রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু শণাক্ত হয়েছে ১৬ জনের। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ এখনো মফিজুল ইসলামে নামে একজন আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্তরা হলেন, গত ১৬ আগস্ট উপজেলার গদাইপুরের গীতা রানী (৭০) নামে এক মহিলা রোগী ভর্তি হয়ে ২৩ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। আক্রান্ত অন্যরা হলেন, উপজেলার রেজাকপুর গ্রামের জামেলা বেগম (৫৫), মটবাটি গ্রামের মামুন (৩০), মালথ গ্রামের জাহিন (৭), জাবিন (১২), চাঁদখালী গ্রামের আমির আলী (২০), ভ্যকটমারী গ্রামের শারমীন (২২), বেতবুনিয়া গ্রামের জয়নাব (৩৪), রহিমপুরের সাকিব (২০), লতিফা (৩৭), শিলেমানপুরের আহাদ আলী (৪০), রেজাকপুর গ্রামের মফিজুল (৩৫), কাটিপাড়া গ্রামের মতিয়ার (২০), লস্কর গ্রামের মিজানুর (৪৮), সুভদ্রা (৮০), গড়-ইখালী গ্রামের আবু তাহের (৩০)। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে খুলনায় রেফার্ড করা হয়। অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উপজেলার কাশিমনগরের প্রাইভেট প্রাকটিশানার ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতিদিন ২০/৩০ জন জ¦রে আক্রান্ত রোগী আসছেন তার কাছে। যাদের মধ্যে অনেকেই সিমটম অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগী। গুরুতর কেউ থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে। তবে কাউকে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্তের কথা বলছেন না। কেননা, এতে করে তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করতে পারে। পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিতীশ চন্দ্র গোলদার জানান, জ¦র নিয়ে ভর্তি হলে তাকে বাধ্যতামূলক ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু সনাক্তদেরকে আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মফিজুল নামে এক ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন।