নিজের মেয়েকে ধর্ষণ ও স্ত্রীকে হত্যার পৃথক দুটি মামলায় বরিশালের দুইটি আদালতের বিচারক তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। একইসাথে দন্ডপ্রাপ্তদের অর্থদন্ড করা হয়েছে। বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীতে পড়-য়া নিজ মেয়েকে ধর্ষনের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ ইয়ারব হোসেন। মঙ্গলবার শেষকার্যদিবসে এ রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আবদুস সালাম খান (৩৮) আদালতে উপস্থিত ছিলো। সে (সালাম) নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডস্থ জাহানারা কাউন্সিলর গলির বাসিন্দা সেলিম খানের ছেলে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে সালাম তার নিজের মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনায় সালামের স্ত্রী বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ও তার সহযোগিকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা। মঙ্গলবার শেষকার্যদিবসে এ রায় ঘোষণার সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এক আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো-গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার বেদগ্রামের বাসিন্দা মৃত আনোয়ার শেখের ছেলে তামিম শেখ (৪৪) ও কোটালীপাড়া উপজেলার বেপারীপাড়া এলাকার মৃত ইদ্রিস শেখের ছেলে রুবেল শেখ (৪২)। খালাসপ্রাপ্ত জুলহাস শেখ (৪৮) বেদগ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মৃত সালাম শেখের ছেলে।
সূত্রমতে, আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মৃত করিম শাহের মেয়ে দুই সন্তানের জননী রাশিদা বেগমকে ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি স্বামী তামিম শেখ তার সহযোগিদের নিয়ে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় রাশিদার ভাই আমিন শাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।