সংকটের অজুহাতে রাজশাহী নগরীতে কলেরার স্যালাইন দ্বিগুন বা তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার টাকা দিয়েও কখনো কখনো মিলছে না কলেরার স্যালাইন। গত বেশকিছুদিন ধরে এমন সঙ্কট তৈরী হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ অজুহাতে সুজোগ সন্ধানী অসাধু ওষুধের দোকানীরা দ্বিগুন বা তার চেয়েও বেশি দামে কলেরার স্যালাইন বিক্রি করছে। রাজশাহীর সব ফার্মেসিগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোম্পানি প্রায় ৫০ শতাংশ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে কেউ কেউ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে স্যালাইন এনে রাজশাহীতে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। রাজশাহীর লক্ষীপুর এলাকার দাদু ফার্সেসি, ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসি, শাহিন মেডিকেল হোমসহ অন্যান্য ফার্মেসির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা চাইলেও কোম্পানীর লোকজন স্যালাইন সরবরাহ করছে না। ফলে রোগীদের চাহিদা মতো কলেরা স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে সঙ্কটের সুযোগে মাত্র ৯০ টাকা দামের স্যালাইন অনেকেই বিক্রি করছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দামে।
আবু খালিদ নামের এক রোগীর স্বজন জানান, তার রোগীর জন্য কলেরা স্যালাইন প্রয়োজন হলে তিনি রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর এলাকার কয়েকটা ফার্মেসী ঘুরেও তা পাননি। পরে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি স্যালাইন কিনেন তিনি। আরেক রোগী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ৯০ টাকার স্যালাইন কিনেছি ২০০ টাকায়।
তবে বাড়তি দামে বিক্রির কথা অস্বীকার করে নগরীর লক্ষীপুরের ওল্ড রাজশাহী ফার্মেসীর মালিক মো. ডন বলেন, রাজশাহীতে কলেরা স্যালাইনের সঙ্কট আছে। তবে আমরা বাড়তি দামে বিক্রি করছি না। অন্যরা কেউ করলে করতে পারে। আমাদের দোকানে বাড়তি দামে স্যালাইন বিক্রির কোনো সুযোগ নাই।