বরগুনার তালতলীতে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিনহাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এর আগে তালতলী ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক এর ব্যবসায়ী ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি করেন ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিনহাজ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান শুক্কুর, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন প্রিন্স ও যুবলীগ নেতা জে এইচ সুমন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিনহাজ বলেন, বরগুনা ১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এড্যাভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এর নামে উপজেলার কাজিরখাল এলাকায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় জাহিদুল হক সোহাগ। এই প্রধান শিক্ষকের আপন ভাই বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক ও তিনি সাবেক থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন এজন্য ঐ স্কুলে কখনোই ১৫ আগস্ট পালনসহ কোনো জাতীয় দিবস পালন করেনি। এর প্রতিবাদ আমিসহ অনেকেই ফেজবুকে লেখালেখির মাধ্যমে করে। এর জের ধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সদর রোডে মায়ের দোয়া নামক হোটেলে কারেন্ট যাওয়া নিয়ে আবারও সরকারকে নিয়ে কুটক্তি করেন। এ সময় ঐ কুটক্তি মুলক কথার প্রতিবাদ করে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার সময় জাহিদুল হক সোহাগ আমার ওপর ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের রিয়াজ উদ্দিন প্রিন্সকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। সঠিক ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে ও শিক্ষক পেশা লুকিয়ে তার তালতলী ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজির দাবির বিষয়ে আমাদের দুইজনকে আসামি একটি মামলা করেন আদালতে ও মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি করছি। তাছাড়া এসপি ও ওসিদের নাম ভাঙ্গিয়ে যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছে সেটাও ভিক্তিহীন।
এবিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাহাত মিনহাজের কাছে জানতে চাওয়া হয় ঐ শিক্ষক ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন তার কোনো প্রমান পত্র হিসেবে কমিটির কাগজ আছে কিনা ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কমিটির কোনো কাগজ নেই তবে বিএনপির লোকজনের কাছে খোঁজ খবর নিলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী তালতলী ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক এর মালিক জাহিদুল হক সোহাগ বলেন, চাঁদা দাবির জন্যই আমি আদালতে মামলা করেছি। ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়। আমি নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি ও এই স্কুলে সকল জাতীয় দিবস গুলো পালন করা হয়। তিনি আরও বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় সংসদ সদস্যর নামে আর সামনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন। এজন্য কুচক্রী মহল চাঁদাবাজী মামলাটাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য এই অপ্রচার চালাচ্ছেন। তাছাড়া আমার ভাই বিএনপির রাজনীতি করলেও আমি আমি কোন সময় বিএনপির রাজনীতি করিনি ও প্রমানও দিতে পারবে না তারা। আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকতা নিয়ে আছি।