রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০০ ইয়াবা, ২২ গ্রাম ৩০৫ পুরিয়া হেরোইন, ৪০ কেজি ১৬০ গ্রাম ১৫৯ পুরিয়া গাঁজা ও ৯৭ বোতল দেশি মদ জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাজধানীতে ইয়াবাসহ জনি (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মহসিন জানান, সন্ধ্যায় মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের মানহা বাজার জেনারেল স্টোরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এলাকায় মাদক প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাড়াতে বসানোর জন্য ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই ক্যামেরার ভেতর থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে এসব ইয়াবা! জনি বরগুনা জেলার আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে। জনি একজন পেশাদার মাদক বিক্রেতা। তিনি মূলত কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে এগুলো বিক্রি করেন। এগুলো যাতে নির্বিঘ্নে পাঁচার করা যায় তাই তিনি কখনও ইলেক্ট্রেশিয়ান, কখনও টেকনিশিয়ান, আর কখনও কুরিয়ার বয়ের ছদ্মবেশ ধারণ করেন। আজও ইয়াবার একটি চালান নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের মানহা বাজার জেনারেল স্টোরের সামনে থেকে একটি প্যাকেটসহ তাকে আটক করা হয়। মহসিন বলেন, এ সময় থাকা প্যাকেটে কি আছে জানতে চাইলে জনি জানান, তাদের এলাকায় মাদক বেড়ে গেছে। সেই মাদক প্রতিরোধে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্যাকেটে করে সেই ক্যামেরাই নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার কথা অসংলগ্ন মনে হলে সেই সিসি ক্যামেরা তল্লাশি করা হয় এবং ভেতরে মেলে দুই হাজার ইয়াবা। এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।