পূর্ব রূপসায় মাঝিপাড়া এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজা ও ইয়াবা বিক্রয় ও স্থানীয় নারীদের দিকে কু-নজর সহ অসভ্য-আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় (১৪ সেপ্টেম্বর) রূপসা ঘাট মাঝি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন বেপারী খুলনা জেলা পুলিশ সুপার, রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ উল্লিখিত অভিযোগে অপকর্মের হাত থেকে এলাকার যুব সমাজ রক্ষার্থে এলাকার সাধারণ মানুষ ৩'শত ৬৪ জনের নিজ নিজ নাম লিখে গণস্বাক্ষরও করেছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, পশ্চিম রূপসা ওয়াপদা মধুমতী স্ব-মিল এলাকার সিসি কালামের ছেলে রেজাউল হাওলাদার ও পূর্ব রূপসার চর-রূপসা এলাকার পনু হাওলাদারের ছেলে জামাল হাওলাদার চর-রূপসা মাঝিপাড়া এলাকায় এসে অবৈধভাবে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য গাজা ও ইয়াবা বিক্রি এবং নিজেরাও সেবন করে আসছে। যার ফলে মাঝি পাড়া এলাকার যুবসমাজ ও অল্প বয়সী কিশোরেরা নেশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইতোপূর্বে এলাকার সাধারণ মানুষ একাধিকবার তাদের নিষেধ করা হলেও তারা কোন কর্নপাত না করে তাদের মাদক বিক্রির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও মাদক বিক্রেতারা মাঝিপাড়া এলাকায় স্থানীয় নারীদের দিকে কুনজরসহ অসভ্য ভাষায় আচারণও করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এলাকার সাধারণ নারীরা মানসম্মানের ভয় কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেনা। এ মাদক বিক্রেতারা ইতোমধ্যে রূপসা ঘাট এলাকা হতে সাধারণ মানুষদের ভয়রীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যায়। যা স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতার গত (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯ টার দিকে মাদক বিক্রেতা রেজাউল হাওলাদার তার দলবল নিয়ে রূপসা পশ্চিমপাড় ঘাটের পল্টনে এসে মাঝিদের সাথে মাদক বিক্রয় সংক্রান্তকে কেন্দ্র করে কলহ-বিবাদ সৃষ্টি হয়। মাঝি ইউনিয়ন শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। একপর্যায়ে ইউনিয়নের হাসান চৌকিদার ও হালিম চৌকিদার তাদের কথায় প্রতিবাদ করলে ওই মাদক বিক্রেতারা তার দলবল নিয়ে হাসান চৌকিদারকে মারপিট করে। খবর পেয়ে মাঝি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বেপারি সেখানে গিয়ে রেজাউলকে এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে। তাতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে। এ ঘটনার পর মুহুর্তের মধ্যে মাঝিরা কিছু সময়ের জন্য ঘাট বন্ধ করে দেয়। পরে আহত শাহাদাৎ বেপারি পূর্ব রূপসা রেলস্টেশন মসজিদের সামনে মাদক বিক্রেতা জামাল হাওলাদারকে পেয়ে বলা হয় বহিরাগত লোকজনদের নিয়ে এলাকায় এসে মাদক বিক্রয় ও অশান্তি সৃষ্টির কথা বলা হলে তখন সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাকে মারপিট করতে উর্দ্যত হয়। এ সময় জামাল হাওলাদার এর সাথেও কথাকাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে চড়থাপ্পড় এর ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী ওই মাদক বিক্রেতারা যাতে এলাকায় কোন প্রকার অনৈতিক কর্মকা- করতে না পারে তার জোর দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে তারা মাদকের সাথে জড়িত এই দুই মাদক বিক্রেতাকে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এদিকে এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনা ও প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত পশ্চিম রূপসা ওয়াপদা বেড়িবাঁধ এলাকার কিছু উশৃংখল যুবক এবং কিশোর গ্যাং এর একটি সংঘবদ্ধ দল পূর্ব রূপসা এলাকায় এসে লোকজনকে মারপিট করে এবং ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ ব্যাপারে কেউ কোন প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও শাসানো হয়। এসব ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন।